ঢাকামঙ্গলবার , ৩ জুনe ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারাদেশ

মাধবপুরে অনুমোদিত করাতকল ১০ টি আড়ালে অবৈধ প্রায় ৪৫ টি, হুমকিতে বন ও পরিবেশ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
১৯ মে ২০২৫, ৫:১০ বিকাল

Link Copied!

ডেক্স রিপোর্ট

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে অবৈধ স’মিলের সংখ্যা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে উপজেলাটিতে বৈধ করাতকল রয়েছে মাত্র ১০টি, যেখানে অবৈধভাবে চালু রয়েছে প্রায় ৪৫টি । অবৈধ করাতকলের সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় গড়ে ওঠা এসব অবৈধ করাতকল বন ধ্বংসের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পরিচালিত এসব করাতকলে প্রতিদিন গোপনে কাটা হচ্ছে সরকারি বনাঞ্চলের শত শত গাছ, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অবৈধ অনুমোদন হীন করাতকলের মালিকদের সহযোগিতায় রাতের আঁধারে বন থেকে গোপনে গাছ এনে কাঠে রূপান্তর করছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই স’মিলগুলো চলছে, অথচ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

এলাকাবাসী বলেন, “যেখানে বৈধ মিল ১০টা, সেখানে অবৈধ ৪৫টা— এটা কীভাবে সম্ভব? এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা নাকি অন্য কিছু। রহস্যজনক হলেও সত্য যে পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রশাসন বনাম করাতকলের মালিক।

পরিবেশের ওপর প্রভাব:

লাগাতার গাছ কেটে বন উজাড়ে মাধবপুরে দেখা দিচ্ছে পরিবেশগত বিপর্যয়ের লক্ষণ। দিন দিন কমে যাচ্ছে গাছপালা, বাড়ছে উষ্ণতা, কমছে বৃষ্টিপাত এবং হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। মাটি হচ্ছে অনুর্বর, হুমকিতে পড়ছে কৃষিজমি ।

প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ:

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় অভিযান চালানো হলেও মূলত নামমাত্র কিছু জরিমানা ছাড়া বড় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন, কিছু অসাধু কর্মকর্তা এসব অবৈধ স’মিলের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত। অভিযানের সময় আগে থেকেই খবর পেয়ে স’মিল বন্ধ করে দেওয়া হয় বা কাঠ সরিয়ে ফেলা হয়, ফলে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন।

দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি:

অবৈধ স’মিলগুলোর তালিকা প্রকাশ করে তা বন্ধে কঠোর অভিযান চালানো

স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগের সমন্বয়ে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন

পরিবেশ রক্ষা ও পুনঃবনায়ন কর্মসূচির সম্প্রসারণ

গণসচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা

রঘুনন্দন রেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন,
“আমি সদ্য এখানে যোগদান করেছি। আমাদের তথ্য অনুযায়ী, বৈধ স’মিল রয়েছে ১০টি এবং অবৈধ প্রায় ৪৫টি। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। ইতোমধ্যে এসিল্যান্ড এর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে, খুব শিগগিরই যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে।”

পরিবেশবিদ ড.আবিদ মালিকের মতে, লাগাতার বন উজাড়ের ফলে এলাকার তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া, মাটি ক্ষয়, এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মতো বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা শুধু রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়, নাগরিকদেরও। মাধবপুরের বন উজাড় হলে ক্ষতির শিকার হবে পুরো দেশ। এখনই যদি অবৈধ স’মিল নিয়ন্ত্রণে না আনা হয়, ভবিষ্যতে এই এলাকার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়তো অসম্ভব হয়ে উঠবে।

তবে প্রশাসন বলছে, অবৈধ স’মিল চিহ্নিত করে খুব শিগগিরই অভিযান চালানো হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সাংবাদিক সাইফুলের বিরুদ্ধে হাঁস চুরির অভিযোগে তোলপার

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর ওপর হামলা, থানার ওসি প্রত্যাহার

অপরিকল্পিত উন্নয়নে ডুবছে এলাকা, নাজিরপুর তেমুনিয়া বিশ্বরোড সহ মাধবপুরে কয়েকটি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট প্লাবিত

বেতন-বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ আর.এ.কে মসফ্লাই কোম্পানির শ্রমিকদের প্রতিবাদ

লংগদুতে সাংবাদিক ওমর ফারুক মুছা’র স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

মাধবপুরে অনুমোদিত করাতকল ১০ টি আড়ালে অবৈধ প্রায় ৪৫ টি, হুমকিতে বন ও পরিবেশ

লংগদুতে সেনাবাহিনীর অভিযানে বসতবাড়ির চাষকৃত গাঁজা গাছ ধ্বংস

শত কোটি টাকার সম্পদ রক্ষার্থে ভিপি সাজ্জাদ বিএনপির পদ প্রত্যাশী

লংগদুতে সড়কের পথিমধ্যে থাকা বৈদ্যুতিক খুটি রেখেই পিচ ঢালাই এর কাজ চলমান

বিজিবি’র চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ৩ দিনে প্রায় ৩ কোটি টাকার সিজার

রাতের আঁধারে ধান কাটার অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

চন্দনাইশ উপজেলার বরকল শিরিন মছউদ গ্রামার স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত